ইবাদত হোসেন চৌধুরী একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার। ফেব্রুয়ারী ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হয়ে তার আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়। তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একজন সক্রিয় সৈনিকও।
এর পর ইবাদাতের আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি! ঐ বছরেই হয়েছিলো নিজ বিভাগ সিলেটের হয়ে প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে অভিষেক। বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগ বিসিএলের ২০১৮-১৯ সিজনে বল হাতে ২১ উইকেট নিয়ে নিজের আগমনী বার্তা দেন নতুন করে। ২১ উইকেটের ভিতর নর্থ জোনের বিপক্ষে এক ম্যাচেই নেন ১০ উইকেট। ২০১৯ সালের বিপিএল মাঠ মাতিয়েছিলেন নিজ বিভাগ সিলেটের হয়ে, ঐ আসরে সিলেটের লাস্ট ম্যাচে চিটগং ভাইকিংসের বিপক্ষে মাত্র ১৭ রান খরচায় তুলে নিয়েছিলেন চার চারটি উইকেট। আর এতেই খুলে যায় ইবাদাতের জন্য জাতীয় দলের দরজা, ইঞ্জুরিতে পরা তাসকিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হন টেস্ট স্কোয়াডে। বল হাতে গতির ঝড় তোলা ইবাদাত জাতীয় দলে এসে পাচ্ছিলেন না বলার মতো কোনো সাফল্য। করেছিলেন হতাশের পর হতাশ, হচ্ছিলেন সমালোচিত। ১১ টেস্টে ১১ উইকেট নেয়া ইবাদাত সমালোচিত হবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে সব সমালোচনার জবাব দেয়ার জন্যে নিশ্চয় একটা মোক্ষম সময়ের অপেক্ষায় ছিলেন ইবাদাত। নিজকে প্রমাণের জন্য বেছে নিয়েছেন সবচেয়ে কঠিন কন্ডিশন এবং প্রতিপক্ষ। ম্যাচ সেরা পারফর্মেন্স দলকে এনে দিয়েছেন ইতিহাসের সেরা এক জয়। ১১ টেস্টে ১১ উইকেট নেয়া ইবাদাত এবার এক টেস্টেই নিয়েছেন ৭ উইকেট। রেকর্ড বুকে এনেছেন একাদিক পরিবর্তন। ইবাতরা এভাবেই ফিরে, ওদের তো ফিরতেই হবে! দেশের জন্য, দশের জন্য, সর্বোপরি বাংলাদেশ ক্রিকেট জন্য। যে শুরুটা করেছেন সেটা চালতে থাকুক অবিরত। শুভ জন্মদিন ইবাদাত হোসেন চৌধুরী। আপনার ২৮ তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা নিবেন। এভাবেই নিজের অর্জনের পাল্লাটা ভারি করুন, হয়ে উঠেন দেশের গর্বের কারণ। ইতিহাসের সেরা একটি জয় উপহার দেয়ার জন্যে আপনাকে জানাই স্যালুট।