তাই বলা চলে এখনকার দিনে আমরা যে সমস্যাগুলো মুখোমুখি হচ্ছি সেগুলোর মধ্যে এমন একটি সমস্যা ও নেই যেগুলো পরবর্তী নবী-রাসূলগণ মোকাবেলা করেননি । এর অনেকগুলো উপকারিতা আছে যেমন আমাদের কাছে প্রত্যেকটি পরীক্ষার নীলনকশা রয়েছে । এর সাথে রয়েছে সেগুলোর মোকাবেলা করার নির্দেশনা । আবার আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দাদের ভয়াবহ পরীক্ষার ঘটনা থেকে আমরা সিদ্ধান্ত পৌঁছাতে পারি যে , এ সকল বিপদময় পরিস্থিতি মোকাবেলায় পূর্ণতা দান করে । আল্লাহ যেখানে প্রিয় বান্দা অর্থাৎ নবী রাসূলদের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন করেন তাই আপনি ও তেমন কঠিন পরীক্ষায় পতিত হন তাহলে একথা বলার অবকাশ নেই আমি কেন ? কারণ আপনার থেকে অধিক প্রিয় বান্দাদের আল্লাহ এর চেয়েও কঠিন কঠিন পরীক্ষা করেছেন । নবীদের সাথে আমাদের একটা সাদৃশ্য অর্জন করা সৃষ্টি হয় , যখন আমরা নিজেরা কোন সমস্যার সম্মুখীন হব নবীদের কষ্ট ,ত্যাগ ইত্যাদি যথারীতি উপলব্ধি করতে সক্ষম হবো । কারণ তারা আরো বিপুল পরিসরে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন । ফলে নবী রাসূলের প্রতি আমাদের ভালোবাসা সৃষ্টি হবে এবং আল্লাহ তালার প্রতি বিশ্বাস সৃষ্টি হবে ।
আল্লাহ কেন আমাদের পরীক্ষা করেন _ Why Dose AllahTest Us
0
December 14, 2021
আল্লাহ কুরআনে আল-ইমরানে ১৮৬ নম্বর আয়াতে বলেছেন , নিশ্চয়ই তোমাদেরকে পরীক্ষা করা হবে , তোমাদের সম্পদ ও জীবনের দ্বারা । কিছু লোকের জন্য এই পরীক্ষা হতে পারে দারারা, কারো জন্য হতে পারে মারাত্মক কোনো শারীরিক অসুস্থতা , আবার কিছু মানুষ এ জন্য হতে পারে ভালোবাসার মানুষকে হারানোর , কারো জন্য বন্দিদশা । তবে আমাদের প্রত্যেকেরই জন্যই আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা প্রতিশ্রুতি যে তিনি আমাদের সবাইকে জীবনে কোনো না কোনো সময়ে কোনো না কোনো এক ধরনের পরীক্ষার মুখোমুখি অবশ্যই করবেন ।
আপনি নবী তুল্য এক ব্যক্তি কিংবা একজন খুনী ঘৃণিত ব্যক্তি হন , আল্লাহতালা নির্দিষ্ট পরিমাণ দুঃখ-কষ্ট পরীক্ষা নির্ধারণ করেছেন । আল্লাহ তাআলার প্রেরিত নবীগণ বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার জন্য সম্মুখীন হয়েছেন , তা ভালো করে খেয়াল করলে আপনার কাছে মনে হবে কেন আল্লাহতালার আগে থেকে আপনার আমার জন্য এই জিনিসগুলো উদাহরণ হিসেবে রেখে দিয়েছেন । যেন আমরা আমাদের সমস্যাগুলো সঠিকভাবে মোকাবেলা করতে পারি । আমরা যদি কয়েকটি নবী রাসুলের জীবনী দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পারবো ।
আদম (আঃ) সাল্লাম এর এক পুত্র আরেক পুত্রকে হত্যা করেছিল ।
নুহু (আঃ ) এর পুত্র কাফির পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছিল ।
ইব্রাহিম (আঃ) এর বাবা ছিল এক অত্যাচারী মুশরিক ।
ইউসুফ (আঃ) কে নিরপরাধ সত্বেও দীর্ঘদিন কারাগারে কাটাতে হয়েছিল ।
আইয়ুব কে (আঃ) সম্মুখীন হতে হয়েছিল মারাত্মক ধরনের সব অসুখের ।
ইয়াকুব (আঃ) দুইবার সমসাময়িক ভাবে পুত্রহারা হয়েছিলেন ।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) দারিদ্র্যের সম্মুখীন হন তার জীবন একাধিকবার বিপন্ন হয় ।
তিনি তার শিশুসন্তানদের কে হারান । প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজা (রাঃ) হারান ।
প্রাণ প্রিয় চাচা তাকে ছেড়ে চলে যান পরপারে । এমন কি তার নিজের জন্মভূমি
থেকে তিনি হয়েছিলেন বিতাড়িত ।