ধরা যাক এটা লিখিত যে আমি সারা জীবনে দুই কোটি টাকা আয় করবো এই সিদ্ধান্ত আল্লাহতালা নিয়েছেন ।
আমি হালাল উপায়ে আয় করবো না হারাম উপায় আয় করবো সেই সিদ্ধান্ত কিন্তু আমার। যদি ধৈর্য ধারণ করি আল্লাহতালার কাছে চাই তাহলে হালাল উপায়ে ওই দুই কোটি টাকা আয় করে তারপর আমি মারা যাবো, আবার হারাম উপায় হলেও ওই দুই কোটি বেশি বা কম কিছু নয় ।
আমি যেই ফলটি আজকে মুন্সীগঞ্জে বসে খাচ্ছি , সেটা হয়তো আমেরিকা কিংবা জাপান বা অন্য কোন দেশ থেকে ইমপোর্ট করা ।ওই গাছের সকল মুকুল হয়েছে তখন এটা নির্ধারিত যে সেটি আমার কাছে পৌঁছাবে । এরমধ্যে কত পাখি ওই ফলের উপর বসেছে , কত মানুষ এই ফলটি পারতে গেছে , দোকানে অনেকে এই ফলটি নেড়েচেড়ে রেখে গেছে , পছন্দ হয় নি , কিনে নি ।
এই সব ঘটনার কারণ একটাই ফলটি আমার রিজিকে লিখিত । যতক্ষণ না আমি কিনতে যাচ্ছি ততক্ষণ সেটাও ওখানেই থাকবে ।
এরমধ্যে আমি মারা যেতে পারতাম , অন্য কোথাও চলে যেতে পারতাম , কিন্তু না । রিজিকে যেহেতু লিখিত আমি এই ফলটি না খেয়ে মারা যাবো না ।
রিজিক জিনিসটা এতটাই শক্তিশালী ।
কিংবা যেই আত্মীয় কিংবা বন্ধু বান্ধব আমার বাসায় আসছে সে আসলে আমার খাবার খাচ্ছে না । এটা তারই রিজিক , শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলা আমার মাধ্যমে তার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন । হতে পারে এর মধ্যে আমাদের জন্য মঙ্গল রয়েছে ।
আলহামদুলিল্লাহ
কেউ কারোটা খাচ্ছে না , যে যার রিজিকের ভাগই খাচ্ছে ।
আমরা হালাল না হারাম উপায় খাচ্ছি সেটা নির্ভর করছে আমি আল্লাহতালার উপর কতটুকু তাওয়াক্কাল আছি , কতটুকু ভরসা করে আছি । আল্লাহ তাআলা আমাদের সঠিক পথ ও রিজিকের তৌফিক দান করুন আমিন ।