মানুষ হিসেবে আমরা ভুল ত্রুটির ঊর্ধ্বে নই । ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় জেনে না জেনে আমাদের থেকে ভুল আচরণ প্রকাশ পেতেই পারে । আমাদের জীবনে যদি এই জাতীয় ঘটনা ঘটে থাকে অর্থাৎ আমরা যদি অন্যের কোন কিছু ভোগ করে থাকি বিনা অনুমতিতে এবং এজন্য পরে মালিকের সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা না করি তাহলে ক্ষমা বা তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে উদ্যোগ নেওয়া উচিত । যদি মালিক মারা গিয়ে থাকেন তাহলে তার সন্তানের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে । আর যদি তাদের কাউকেই পাওয়া সম্ভব না হয় তাহলে ওই পরিমাণ সম্পদ তাদের নামে সদকা দেওয়া উচিত ।
সেই সঙ্গে তওবা ও করতে হবে ভবিষ্যতে এই কাজ আর না করার ।
বস্তুতঃ আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস ও ভরসা করাই হচ্ছে খাঁটি মুমিনের বৈশিষ্ট্য ।
এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে তোমরা মন ভাঙ্গা হইও না , হীনবল হইও না তোমরাই বিজয়ী হবে যদি তোমরা মুমিন হও । আল্লাহতালা সূরা ইব্রাহীমে আরো বলেছেন যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করো তবে তোমাদেরকে আরো দেব এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর ।
তাই সর্বাজ্ঞে আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে । আমাদের প্রচেষ্টা যদি আন্তরিক হয় , আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত হয় তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সব বৈধ বাসনা পূরণ করবেন । আমাদের দোয়া সমূহ কবুল করবেন ।
আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সব সমস্যার সমাধান দিতে পারেন । এই দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের রাখা উচিত । আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে পথ নির্দেশনা কামনা করলে আল্লাহ অবশ্যই তা কবুল করবেন । আল্লাহর মর্জি হলে , যা ঘটা আপাতত দৃষ্টিতে অসাধ্য বলে মনে হয় তাও সাধন সম্ভব ।
অনেক খোদাভীরু ব্যক্তির কথা জানা যায় , যারা বিসমিল্লার রহমান রাহিম বলে নদীর পানির উপর দিয়ে এমনভাবে হেঁটে নদীর পাড় হয়েছেন যেভাবে আমরা পার হই মাটির রাস্তা ।
আল্লাহর প্রিয় পাত্রের জন্য এসব খুবই সাধারণ ঘটনা । তার মানে এটা নয় যে , সবাইকে পানির উপর দিয়ে হেঁটে যেতে হবে বিষয়টি শুধু শিক্ষা অর্জনের জন্য উল্লেখ করা হলো ।
আমাদের সন্তানরা ভালো থাকুক এটা সবারই কাম্য । কিন্তু তাদের ভালো রাখতে যেয়ে , শান্তি নিশ্চিত করতে তাদের মুখের হারাম খাবার , গায় হারাম পোশাক দেওয়া ঠিক হবে না । এটা তাদের ভবিষ্যৎ কে ধ্বংস করাই নামান্তর ।