মৃত সাগর | মৃত সাগরের রহস্য | যে সাগরে কোন প্রাণী বাচে না | Dead Sea



Full Video Link : https://youtu.be/O2cT9eqE12A



 মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত ডেড সী বা মৃত সাগর প্রকৃতপক্ষে কোন সাগর নয় । এটি  মূলত একটি হ্রদ । পৃথিবীর অন্যান্য সাগরের তুলনায় মৃত সাগরের পানি দশগুণ বেশি লবণাক্ত হবার কারণে এই জলে উদ্ভিদ বাঁচতে পারে না তাই । এর নাম দেওয়া হয়েছে মৃত সাগর । অত্যাধিক লবণের উপস্থিতির কারণে মৃত সাগরের পানি প্লবতা এতই বেশি যে এখানে আপনি হাত-পা ছড়িয়ে বেঁসে থাকতে পারবেন । এই সাগরে সাঁতার না জানলেও কোন সমস্যা নেই । আজ আমরা জানবো মৃত সাগর সম্পর্কে জানা-অজানা কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য । 





মৃত সাগরের পূর্ব সীমান্তে রয়েছে জর্ডান এবং পশ্চিম প্রান্তে রয়েছে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন । বর্তমানে এ   হ্রদের এর গভীরতা ১২৪০ ফিট এবং এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৭ কিলোমিটার ও প্রস্থ সর্বোচ্চ ১৮কিলোমিটার । প্রকৃতির তথ্য অনুযায়ী প্রায় ২ মিলিয়ন বছর পূর্বে উপত্যকায় এবং ভূমধ্য সাগরের মধ্যে যথেষ্ট উচ্চতা লাভ করে ফলে মহাসাগরে প্লাবনে এই অঞ্চলটির হ্রদে পরিণত হয় ।



প্রায় ১০ হাজার বছর পূর্বে এর পানির উচ্চতা নাটকীয় ভাবে কমতে থাকে ।  কয়েক বছর ধরে এই পৃষ্ঠের উচ্চতা প্রায় ৪০০ মিটার এর আশেপাশে অবস্থান করছে । বিজ্ঞানীদের বিশ্লেষণে দেখা গেছে অন্যান্য সাগরের তুলনায় মৃত সাগরের পানিতে মিশে থাকা খনিজ উপাদান এর অনেক পার্থক্য রয়েছে । 





মৃত সাগরের পানিতে মিশে থাকা লবণের ১৪ শতাংশ ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড ৪% পটাশিয়াম ক্লোরাইড ৫০% ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড এবং ৩০% সোডিয়াম ক্লোরাইড আছে । মৃত সাগরের লবণাক্ত প্রায় ৩০% ফলে পানির ঘনত্ব প্রায় ১.২৪ প্রতি লিটারে । মৃত সাগরের জলে ভেসে থাকার জন্য আপনাকে কিছু করতে হবে না । যারা সাতার জানেন না তারাও এখানে সুনিশ্চিত ভাবে ভেসে থাকতে পারবেন । এমনকি আপনি চাইলেও এই সাগরের পানিতে ডুবে যেতে পারবেন না । অত্যন্ত লবণাক্ততার কারণে এই পানিতে প্লবতা অনেক বেশি । প্লবতা হলো পানিতে ভাসমান কোন বস্তুর উপর ঊর্ধ্বমুখী বল ।  মৃত সাগরে বেশি  প্লবতাকারণে এখানে অনায়াসে ভেসে থাকা যায় ।




অবিশ্বাস্য সত্য হলো মৃত সাগরে কোন প্রাণীর বসবাস নেই । মৃতসাগর অঞ্চলটি দিনদিন চিকিৎসাশাস্ত্রের গবেষণার জন্য তীর্থস্থানে পরিণত হয়ে উঠেছে ।  মৃতসাগর অঞ্চলটি মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত আরামদায়ক । সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক নিচে অবস্থিত হওয়ার কারণে পৃথিবীর অন্য যেকোন স্থানের তুলনায় এইখানের অক্সিজেনের মাত্রা প্রায় দশ পার্সেন্ট বেশি । 


এছাড়া মৃত সাগরের লবণাক্ত কাদামাটি ঔষধ ও প্রসাধনীর গুণের কারণে প্রসিদ্ধি । নানা ধরনের চর্মরোগ চিকিৎসায় এই কাদামাটি ব্যবহার করা হয় । এছাড়া পর্যটকরা প্রাকৃতিক প্রসাধনীর হিসেবে এই কাদা  গায়ে মেখে সূর্যস্নান করেন ।  এখানে যারা বেড়াতে আসেন সবাই এই কাদা শরীরের বিভিন্ন অংশে মেখে ব্যবহার করে থাকেন ।


Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.