ভিডিও লিঙ্ক ঃ https://youtu.be/F3mGNzbkIvc
প্রকৃতি কন্যা জাফলং । কি নেই জাফলংয়ে ? পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ পানি । পানিতে চকচক করা নুড়িপাথর আর বালি । অন্যদিকে মেঘালয় পাহাড়ের সবুজের হাতছানি । সব মিলিয়ে প্রকৃতির এক অপূর্ব লীলাভূমি জাফলং । ঝুলন্ত টাকি ব্রিজ মনমুগ্ধকর চা বাগান ।
সিলেট কে বলা হয় হরযত শাহাজালাল রহমাতুল্লাহ এর জন্মভূমি । একে ৩৬০ আউলিয়ার দেশ বলা হয়ে থাকে । বাংলাদেশের চায়ের রাজধানী ও সিলেট । ১২৫৫৮ বর্গ কিলোমিটার এই বিভাগে চায়ের বাগানের সংখ্যা প্রায় ১৩৫ টি । সিলেট শহর থেকে জাফলং এর দূরত্ব প্রায় ৫৫ কিলোমিটার । জাফলংয়ে রয়েছে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা । সিলেট আসলে কেউ জাফলং দেখা মিস করেন না । জাফলং এর স্বচ্ছ পানি, ঝরনা্ নুড়ি পাথর, বালি আর মেঘালয় পাহাড় পর্যটকদের মুগ্ধ করে তোলে ।
মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত প্রকৃতি কন্যা জাফলং এক প্রকৃতির সৌন্দর্যের লীলাভূমি । বর্ষাকালে জাফলং ভ্রমণ উপযুক্ত সময় হলেও শীতকালে জাফলং আকর্ষণীয় নয় । বিভিন্ন ঋতু বৈচিত্র্যময় মাধুর্যে জাফলং সারাবছর ভ্রমণের জন্য আকর্ষণীয় স্থান । সীমান্তের ওপারে সারিসারি পাহাড় দূরে ডাউকি শহর, বর্ষায় প্রবাহমান জলপ্রপা, নদীতে পাথরের সন্ধানে শত শত নৌকার আনাগোনা । স্বচ্ছ নীলাব পানি সবকিছু মুগ্ধ করার মত ।
জাফলং জিরো পয়েন্ট এর কাছেই আছে মায়াবী ঝর্ণা, খাসিয়াপল্ল, খাসিয়া রাজবাড়ী ও সমতলের চা বাগান । এই সবকিছু একদিনে ঘুরে দেখা যায় খুব সহজে ।
বিজিবি ক্যাম্প থেকে পিয়াইন নদীর অপরূপ ভিউ মনকে প্রফুল্ল করে দেবে । আর ডান পাশে দেখা মিলবে ভারতের ডাউকি শহরের । নিচে নেমে গেলে জাফলং জিরো পয়েন্ট । এখান থেকে ঝুলন্ত ব্রিজ দেখা যায় । জিরো পয়েন্টে ইচ্ছেমত সময় কাটিয়ে নিন অথবা বাকি জায়গাগুলো ঘুরে দেখুন । জিরো পয়েন্ট থেকে মায়াবী ঝর্ণা যেতে নৌকা দিয়ে ১০ মিনিট সময় লাগবে । জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস এ ঝর্ণায় অনেক পানি থাকে । তবে শীত আসার সাথে সাথে ঝর্নার পানি কমতে থাকে । তাই ঝরনা দেখতে যাওয়ার ভালো সময় বর্ষাকাল ।
সময় হলে একবার ঘুরে আসুন জাফলং । হতেও পারে এই স্মৃতিটাই আপনার জীবনে অন্যতম উজ্জ্বল স্মৃতি হয়ে থাকবে ।