ক্রিকেট খেলাটা অদ্ভুত। অন্য কোনো খেলায় এরকম ঘটে কিনা আমার জানা নেই। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে গিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেললো এবং কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়ে তুলতে পারলো না। আবার সেই একই দল, প্রায় একই ক্রিকেটারদেরকে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভিন্ন কন্ডিশনে খেললো এবং এবারের ফলাফল একেবারেই উল্টে গেলো। বাংলাদেশে আমি অনেক লোককেই বলতে শুনেছি এ ধরনের পিচে খেলে কোনো লাভ নেই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এসব উইকেটে খেলে আপনি ১২০ রান করবেন, এতে করে আপনি ঘরের মাঠে অনেক বেশি ভালো খেলবেন এবং বিদেশে গেলে একেবারেই বাজে খেলা শুরু করবেন।
আমার মনে হয় তারা এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় হতাশাজনক দল ছিল। বাংলাদেশের আরও বেশি আত্মবিশ্বাস প্রয়োজন বলে আমার মনে হয়। কারণ তারা সত্যিই একটি ভালো দল। তাদের দারুণ কিছু প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে। সৌম্য, লিটন, মাহমুদউল্লাহরা যেরকম ক্রিকেটার হওয়ার কথা ছিল তারা সেরকম হতে পারেনি। অন্য যারা উঠে আসছে তাদেরকেও নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। তারা ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দারুণভাবে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল এবং ২০১৯ বিশ্বকাপেও ভালো খেলেছিল। আমি আশা করি তারা ভবিষ্যতে ভালো করবে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবশ্যই তারা তাদের রেকর্ড পরিবর্তন করতে চাইবে। কারন এ রকম খেলা খেললে প্রীতি বছর বাছাুই পর্ব খেলতে হবে বাংলাদেশের ।
****** হার্শা ভোগলে ******
******** ভারতীয় ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার *******