এক ব্যাক্তির স্ত্রীর পঁয়তাল্লিশ বছর বয়সে মৃত্যু হল,সবাই যখন দ্বিতীয় বিয়ের পরামর্শ দিল।


এক ব্যাক্তির স্ত্রীর পঁয়তাল্লিশ বছর বয়সে মৃত্যু হল,সবাই যখন দ্বিতীয় বিয়ের পরামর্শ দিল।উনি তখন বললেন স্ত্রীর সবচেয়ে বড় উপহার ছেলে আছে ওকে নিয়েই কেটে যাবে।ছেলে যখন বয়স্ক হল ছেলেকে সব ব্যাবসা বুঝিয়ে দিয়ে কখনও নিজের আর কখনও বন্ধুর অফিসে সময় কাটাতে লাগলেন।ছেলের বিয়ের পর উনি আরও বেশি একাকী হয়ে পড়লেন।তখন পুরো বাসাতে বৌমার অধিকারে দিয়ে দিলেন।ছেলের বিয়ের এক বছর পরে উনি দুপুরে খাবার খাচ্ছিলেন ছেলেও অফিস থেকে এসে হাত মুখ ধুয়ে খাবার খাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল।ছেলে শুনতে পেল বাবা খাবার পর দই চাইল আর বৌ জবাব দিল আজকে ঘরে দই নেই!খাবার খেয়ে বাবা বাহিরে হাটতে চলে গেল।কিছু পরে ছেলে তার বৌয়ের সাথে খাবার খেতে বসল।খাবারে পাত্র ভরে দই ছিল ছেলে কোন প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে খাবার খেয়ে অফিস চলে গেল।কিছু দিন পর ছেলে নিজের বাবাকে বললেন ---"আজ আপনাকে কোর্টে যেতে হবে আর আজ আপনার বিবাহ হচ্ছে "।পিতা আশ্চর্য হয়ে ছেলের দিকে দেখল আর বললেন "বাবা! আমার আর বিয়ের দরকার নেই, আর আমি তোমাকে এত স্নেহ দিই যে তোমারও মায়ের দরকার নেই, তো আবার বিয়ে কেন??ছেলে বলল "বাবা, না আমি নিজের জন্য মা আনছি, না নিজের স্ত্রীর জন্য শ্বাশুড়ি আনছি!আমি তো কেবল আপনার জন্য দই এর ব্যাবস্থা করছি! কাল থেকে আমি ভাড়া বাড়িতে আপনার বৌমার সাথে থাকব আর আপনার অফিসের এক কর্মচারীর মত বেতন নেব যাতে আপনার বৌমা জানতে পারে দই এর দাম কত।*মা-বাবা আমাদের জন্যে ATM কার্ড হতে পারেন**কিন্তু তারা আমাদের দয়ায় না বরং আমরা তাদের দয়ায় বেঁচে থাকি। 

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.