বাংলাদেশের ক্রিকেট যেন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। Bangladesh cricket seems to be getting lost day by day.



 বাংলাদেশের ক্রিকেট যেন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। কেন আজ আমাদের এই দশা। আমরা যদি পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর দিকে তাকায় তাহলে তাদের ক্রিকেট দিনদিন কত উন্নতি করছে। বেশি দূরে যেতে হবে না আমাদের  এশিয়ার দেশ আফগানিস্তানের দিকে তাকালে বুঝতে পারা যাবে । তারা ক্রিকেটে কতটা উন্নতি করেছে। আজ আমরা তাদের সাথে টি-টোয়েন্টিতে কিংবা টেস্ট খেলতে গেলে হেরে যাই। তারা বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে পারে আর আমাদের প্রতি বছর কোয়ালিফাই করে খেলতে হয়। এর জন্য কে দায়ী ?


 আজ যারা বোর্ডে কর্মকর্তা আছেন তাদের এই বেহাল দশার জন্য আজ আমাদের ক্রিকেট হারিয়ে যাচ্ছে। তারা সঠিকভাবে ক্রিকেটার তৈরি করতে পারছেন না। দল নির্বাচন করছেন যারা তারা সঠিক খেলোয়ার কে সঠিক  ফরম্যাটে ব্যবহার করছেন না। এর কারণে আজ আমাদের ক্রিকেট ধ্বংসের পথে। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার কে বসিয়ে অনভিজ্ঞ ক্রিকেটার খেলানো কতটা যুক্তি কর তা শুধু তারাই জানেন। পঞ্চপান্ড কে নানান রকম ইস্যু দেখিয়ে দল থেকে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে। প্রথমে মাশরাফিকে বের করা হলো বলা হলো তিনি টি-টোয়েন্টির জন্য ফিট নন। 


তামিম ইকবাল টি-টোয়েন্টি খেলতে পারেন না এমনটাই ভেবে থাকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রাখা হলো না। বিশ্বকাপের পরে বিশ্বকাপের স্কোয়ারটি ঝেড়ে ফেলে এমন একটি নতুন দল তৈরি করেছেন যারা টি-টোয়েন্টির খেলা কিভাবে খেলতে হয় তা জানেন না । অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রধান নির্বাচক জানিয়েছেন তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মুশফিকুর রহিম নিজে জানিয়েছেন আমাকে বিশ্রাম নয় দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে মুশফিকের পারফর্মেন্স আহামরি নয়, এটা তো দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার। এই সূত্র ধরেই নির্বাচকরা সরাসরি বলে দিতে পারেন ‘মুশফিককে এই ফরমেটের জন্য আমরা আর বিবেচনা করছি না।’
.
তা না করে বিশ্রামের গুজব রটিয়ে তাকে সরানোর মানে কি? একজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে নিয়ে মিথ্যাচার কেন? ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সফলতা বলতে ছিলো শুধু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়। সেই জয়ের ম্যান অব দ্যা ম্যাচ ছিলো ইমরুল কায়েস। 

ওয়ানডে খেলতো টেস্ট মেজাজে। ব্যাপারটা এমন ছিলো না যে তার যায়গায় অন্য কেউ ওয়ানডে মেজাজে ওয়ানডে খেলে দিবে। যা খেলতো তাই ছিলো ঐ সময়ের বেস্ট।




সুযোগ-সুবিধা, কম্পিটিশন, টেকনিকাল ইমপ্রুভমেন্ট, বেতন, ম্যাচ ফি তখন কিন্ত কম ছিলো। 

তারপরও তারা যা খেলতো তাই ভালো লাগতো । কিন্ত সব পেয়েও বর্তমানে যারা ক্রিকেট খেলছে তারা সময়ের বেস্ট হতে পারছেনা। সেই ২০০৭-৯ সালের প্লেয়ারদের মত খেলছে। 

কথায় আছে যার জন্য করি চুরি সেই বলে চোর। ২০০৮-২০১২ সাল পর্যন্ত খেলা প্লেয়ারদের বাদ দেয়ার বর্তমান প্লেয়াররা তাদের মতই খেলে তাহলে তাদের বাদ দিয়ে লাভ হইলো কি?  

তাহলে তো সিনিয়ররাই ভালো ছিলো, অন্তত অভিজ্ঞতা পাইতাম। 

বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটার আছে যারা অভিষেক ম্যাচে ১৫-২০ রান করাতে বা শেষ ৫ ম্যাচে ২০+ গড় থাকার পরও বাদ পড়েছে। 

অথচ আজকাল অভিষেক ম্যাচে ১, ২ করে আর শেষ ৫ ম্যাচে ১০-১২ এভারেজ নিয়ে খেলে যাচ্ছে তখন মনে পরে যায় ঐ সব হতভাগাদের কথা যারা এর চেয়ে ভালো খেলেও দলে নেই। 

বিদ্রঃ ইমরুল ওয়ানডেতে বেস্ট। তবে বর্তমানে ক্রিকেটারদের ৮ বলে ১ রান করতে দেখে মনে হচ্ছে ইমরুলকে দেখে খেলতে বললে এর চেয়ে ভালো খেলতো। আর শেষ বিপিএল ২০১৯ এ স্ট্রাইক ১৩২ আর এভারেজ ৪৯ ছিলো ইমরুল কায়েসের যা সম্পূর্ন আসরের ২য় সর্বোচ্চ এভারেজ তারপরও সুযোগ হয়নি দলে।

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.