আজ থেকে ২০০ বছর পর আমার বাড়িতে, আমার ঘরে যারা বসবাস করবে, যারা আমার জায়গা জমি ভোগ করবে আমি তাদের চিনিনা।
তারাও আমাকে চিনবেনা।
কারন তাদের জন্মের অনেক আগেই আমি কবর বাসি হয়ে যাব।
আর ততদিন মুছে যাবে আমার নাম নিশানা।
কবরটাও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
আমার সন্তানরা যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন তারা হয়ত মনে পড়লে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলবে!
কিন্তু তাদের মৃত্যুর পর তাদের সন্তানরা তাদের যতটুকু মিস করবে আমাকে ততটুকু মিস করবে না।
হয়ত বাবার কবর জিয়ারত করে দোয়া করার সময় দাদার জন্যও একটু করবে।
কিন্তু তার পরের প্রজন্ম আর মনে রাখবেনা।
প্রায় ২০০ বছর আগে মারা গেছে আমার দাদার দাদা।
যিনি আমার পূর্ব পুরুষদের জন্য ঘর বাড়ি, জায়গা জমি রেখে গেছেন। একই বাড়ি, একই জায়গা জমি আমরা এখন ভোগ করছি।
কিন্তু উনার কবরটা কোথায় সেটা আমরা জানিনা।
হয়ত আমার দাদার পিতা জানতেন।
কিন্তু দাদার পিতা তো বেঁচে নেই, দাদাও বেঁচে নেই।
আর এমন সময় প্রায় ২০০ বছর পর আল্লাহর হুকুমে উনি একদিন কবর থেকে জীবিত হয়ে নিজের বাড়িতে এসে দাবী করলেন যে এই বাড়ি এই জায়গা জমি সব আমার।
পরিচয় দিয়ে বললেন আমি অমুক, এই বাড়িতে আমার সন্তানদের রেখে গিয়েছিলাম।
তোমরা কারা?
আমার বাড়ি ঘর ছেড়ে দাও।
তখন হয়ত আমরা সোজা উত্তর দিব আপনাকে তো চিনিনা, নামও শুনিনি কোনদিন!
কিন্তু দেশে যদি আইন থাকে যে কোন কারনে মৃত ব্যক্তি যদি আল্লাহর হুকুমে জীবিত হয়ে এসে তার রেখে যাওয়া জায়গা জমি দাবী করে তাহলে তার জায়গা জমি ফেরত দিতে হবে।
তাহলে জায়গা জমি ছাড়বোই না বরং পুরো গুষ্টি শুদ্ধ একত্রিত হয়ে ঐ ব্যাক্তিকে পিটিয়ে বের করে দিব।
এর পর শুরু হবে মামলা মকদ্দমা।
কাকে পিটাব?
যিনি আমার পূর্ব পুরুষদের জন্ম দিয়ে লালনপালন করে নিজের তীল তীল করে গড়া জায়গা জমি দিয়ে গিয়েছিলেন তাকে!
এখন হয়ত ভাবছেন আমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে? অথবা মেয়াদ উত্তীর্ণ গাজা খেয়ে লিখছি?
তা না হলে ২০০ বছর আগের মৃত মানুষ কি করে জীবিত হয়ে সম্পত্তির দাবী করবে?
না, জীবিত হয়ে আপনার সম্পত্তি দাবী করার কোন সম্ভবনা নেই।
নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেন।
তবে সাত পাঁচ করে যে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন সেটা কবরে নিয়ে যেতে পারবেননা।
আর যাদের জন্য রেখে যাচ্ছেন তারা ও আপনাকে মনে রাখবেনা এটা নিশ্চিত!
অন্যের সম্পত্তি জবর দখল করে ভাবছেন আপনি জিতে গেছেন?
সুদ, ঘুষ, কমিশন বাণিজ্য করে সম্পদের পাহাড় গড়ে ভাবছেন আপনি জিতে গেছেন?
তাহলে আপনি আস্ত একটা বোকা !
এই শব্দটা ব্যবহার করার জন্য স্যরি!
ক্ষমা করবেন।
আমাদের সময় খুব কম! তাই এই সুদ, ঘুষ ,দুর্নীতি ক্ষমতার অপব্যবহার , সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ইত্যাদি । কোন লাভ নেই ভাইজান ।।সময় থাকা কালীন ভালো হয়ে কবরের খোরাক সংগ্রহ করুন ঐটাই বুদ্ধিমানের কাজ।। আসুন নিজেকে সৎ মানুষ হিসেবে তৈরি করি পরকালের জন্য পূর্ণতা সন্চয় করি।। ঐটাই আপনার জন্য প্রকৃত সম্পদ।।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনি আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিন।( আমিন