জুনায়েদ সিদ্দিকী বাংলাদেশের হয়ে ৭ টি টুয়েন্টি খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। অভিষেক টুয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭১ রানের ইনিংস খেলার পরের ম্যাচে একাদশে জায়গা পাননি। তার জায়গায় খেলেন নাজিমুদ্দিন!
ক্যারিয়ারের তিনি টুয়েন্টিতে তিনবার দল আসা যাওয়ার মধ্যে ছিলেন। একবারই টানা তিন ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন। ভারত, আয়ারল্যান্ড ও উইন্ডিজের বিপক্ষে। ভারতের বিপক্ষে ২২ বলে ৪১ করায় হয়তো এই সুযোগ। উইন্ডিজের বিপক্ষে ৬ বলে ৫ করার পর আবার বাদ। এবার নিয়মিত ওপেনিংয়ে আশরাফুল।
আবার ৩ বছর পর দলে ফিরেন। এবার দুই ম্যাচ খেলে বাদ। ইনিংস গুলি ছিলো ২৫ (২০) ও ০(৪) রানের । সর্বশেষ ম্যাচ ২০১২ সালের জুলাইতে ৭ ম্যাচে রান ১৫৯ স্ট্রাইক রেট ১৪৭+
এরপর কয়েক ম্যাচ টেষ্টে সুযোগ পেলেও গত ৯ বছর দলের বিবেচনাতেও নেই তিনি। এখনো দিব্যি ঘরোয়া লীগ খেলে যাচ্ছেন। ৩৪ বছর বয়সেও ব্যাটে রানও পাচ্ছেন!
একবার ভাবুন বর্তমানে কেউ একজন অভিষেকে ৭১ করলে কয় ম্যাচ অটো চয়েজ হতো ? আর তার জায়গায় যাদের সুযোগ দিয়েছে তারাও নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। অথচ আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আমার চোখে বাংলাদেশের অন্যতম ক্লিন হিটার ছিলেন তিনি!
আমাদের বোর্ড কর্তারা টেষ্টে ভালো করলে টুয়েন্টিতে, ওয়ানডেতে ভালো করলে টেষ্টে আর যাকে পছন্দ তাকে অটো চয়েজ বানানো, আর যাকে পছন্দ নাহ দুয়েক ম্যাচেই ছুঁড়ে ফেলা সেই হযবরল অবস্থা আগেও ছিলো, এখনো আছে । সুষ্ঠ কোন পরিকল্পনা তাদের কখনোই ছিলোনা ।